- কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
মহানবী (দ:)-কে আমাদের মতো মানুষ প্রমাণ করতে ওহাবীরা যে আয়াতখানা ব্যবহার করে তার সঠিক ব্যাখ্যা তারা দেয় না। এরশাদ হয়েছে, قُلْ إِنَّمَآ أَنَاْ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ ‘কুল ইন্নামা আনা বাশারুম্ মিসলুকুম’ (সূরা কাহাফ, ১১০ আয়াত)। অর্থাৎ, ”(হে রাসূল - দ:) বলুন, নিশ্চয় আমি তোমাদেরই উপমায় মানব সুরতসম্পন্ন।” আরবী ‘মিসাল’ (উপমা) শব্দটি ব্যবহার করে আল্লাহতা’লা কথার মাঝে হেকমত বা রহস্য রেখে দিয়েছেন! মিসাল বা তুলনা দেয়া হয় দুটো সত্তার মাঝে কোনো সার্বিক গুণ বর্ণনা করার উদ্দেশ্যে। যেমন - যায়দের সাহস বাঘের মতো। কিন্তু যায়দ ও বাঘ একই ধরনের সত্তা বা জাত নয়। এমতাবস্থায় উক্ত আয়াতে ’মিসাল’ ব্যবহার করাটা আল্লাহতা’লার মহা গূঢ় রহস্য বলে সাব্যস্ত হয়। আমরা মুসলমান সর্বসাধারণকে এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিবেচনা করার আহ্বান জানাই। কেননা, আয়াতের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর পার্থক্যকারী জাতী সিফাত তথা সত্তাগত গুণ বর্ণনা করা হয়েছে - ‘আমার কাছে ওহী আসে’ (যা তোমাদের কাছে আসে না)। বুখারী শরীফে একটি হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে: “তোমাদের মধ্যে কে আছ আমার মতো?” অর্থাৎ, তিনি কোনোক্রমেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নন। এখন মানুষের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আরবীতে বলা হয় হাইওয়ানে নাতেক, যার বাংলা হলো বাক্ তথা বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী (Man is a rational animal)। এই জাতী সিফাত দ্বারাই আমরা গরু, গাধা, মোষ, উট ইত্যাদি প্রাণী থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। কেউ যদি এই জাতী সিফাতকে না মেনে মানুষকে প্রাণীকুলের সাথে একই কাতারবদ্ধ করে, তাহলে তাকে আমরা গণ্ডমূর্খ ছাড়া আর কিছু বলবো না। মহানবী (দ:)-এর রেসালতের সত্তাগত গুণকে যারা অস্বীকার করে তাঁকে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাতারবদ্ধ করে, তাদের বেলায়ও একই সূত্র কার্যকর হবে। তাই সহীহ আকীদা হলো, তিনি আমাদের রাসূল, নূরনবী (দ:)। মানুষ বল্লে কুরআনী রায়ের বিরোধিতা হবে, যেমনটি এরশাদ হয়েছে - يٰأَيُّهَا ٱلَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَرْفَعُوۤاْ أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ ٱلنَّبِيِّ وَلاَ تَجْهَرُواْ لَهُ بِٱلْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تَشْعُرُونَ “তোমরা একে অপরকে যেভাবে ডেকে থাকো, সেভাবে মহানবী (দ:)-কে ডাকবে না।”(সূরা হুজুরাত, ২য় আয়াত)
মহানবী (দ:)-কে আমাদের মতো মানুষ প্রমাণ করতে ওহাবীরা যে আয়াতখানা ব্যবহার করে তার সঠিক ব্যাখ্যা তারা দেয় না। এরশাদ হয়েছে, قُلْ إِنَّمَآ أَنَاْ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ ‘কুল ইন্নামা আনা বাশারুম্ মিসলুকুম’ (সূরা কাহাফ, ১১০ আয়াত)। অর্থাৎ, ”(হে রাসূল - দ:) বলুন, নিশ্চয় আমি তোমাদেরই উপমায় মানব সুরতসম্পন্ন।” আরবী ‘মিসাল’ (উপমা) শব্দটি ব্যবহার করে আল্লাহতা’লা কথার মাঝে হেকমত বা রহস্য রেখে দিয়েছেন! মিসাল বা তুলনা দেয়া হয় দুটো সত্তার মাঝে কোনো সার্বিক গুণ বর্ণনা করার উদ্দেশ্যে। যেমন - যায়দের সাহস বাঘের মতো। কিন্তু যায়দ ও বাঘ একই ধরনের সত্তা বা জাত নয়। এমতাবস্থায় উক্ত আয়াতে ’মিসাল’ ব্যবহার করাটা আল্লাহতা’লার মহা গূঢ় রহস্য বলে সাব্যস্ত হয়। আমরা মুসলমান সর্বসাধারণকে এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিবেচনা করার আহ্বান জানাই। কেননা, আয়াতের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর পার্থক্যকারী জাতী সিফাত তথা সত্তাগত গুণ বর্ণনা করা হয়েছে - ‘আমার কাছে ওহী আসে’ (যা তোমাদের কাছে আসে না)। বুখারী শরীফে একটি হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে: “তোমাদের মধ্যে কে আছ আমার মতো?” অর্থাৎ, তিনি কোনোক্রমেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নন। এখন মানুষের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে আরবীতে বলা হয় হাইওয়ানে নাতেক, যার বাংলা হলো বাক্ তথা বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী (Man is a rational animal)। এই জাতী সিফাত দ্বারাই আমরা গরু, গাধা, মোষ, উট ইত্যাদি প্রাণী থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। কেউ যদি এই জাতী সিফাতকে না মেনে মানুষকে প্রাণীকুলের সাথে একই কাতারবদ্ধ করে, তাহলে তাকে আমরা গণ্ডমূর্খ ছাড়া আর কিছু বলবো না। মহানবী (দ:)-এর রেসালতের সত্তাগত গুণকে যারা অস্বীকার করে তাঁকে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাতারবদ্ধ করে, তাদের বেলায়ও একই সূত্র কার্যকর হবে। তাই সহীহ আকীদা হলো, তিনি আমাদের রাসূল, নূরনবী (দ:)। মানুষ বল্লে কুরআনী রায়ের বিরোধিতা হবে, যেমনটি এরশাদ হয়েছে - يٰأَيُّهَا ٱلَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَرْفَعُوۤاْ أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ ٱلنَّبِيِّ وَلاَ تَجْهَرُواْ لَهُ بِٱلْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تَشْعُرُونَ “তোমরা একে অপরকে যেভাবে ডেকে থাকো, সেভাবে মহানবী (দ:)-কে ডাকবে না।”(সূরা হুজুরাত, ২য় আয়াত)
No comments:
Post a Comment