-মওলানা মুহাম্মদ নিজামউদ্দীন
চট্টগ্রাম।
ইমাম শেরে বাংলা (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্) তাঁর 'দেওয়ানে আযীয'-এ হযরত কেবলা গাওসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)সহ যাঁদেরকে গাওসুল আযম খেতাবে সম্মোধন করেছেন, তা বরহক ও সঠিক। কারণ যে সমস্ত ওলীয়ায়ে কেরাম কুতুবিয়্যাতের মহান মর্যাদায় পৌঁছেছেন, তাঁদের বেলায়ও গাওসুল আযম শব্দের এতলাক করা তরীকতের দৃষ্টিকোণে জায়েয। তাঁরা সবাই হুযূর গাওসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্)এর নায়েব হিসেবে গাওসুল আযম। এটা হুযূর গাওসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্) 'র গাওসিয়াতে কুবরাকে অস্বীকার করা নয়।
আমাদের জানা উচিত, ইমাম শেরে বাংলা (রহমাতুল্লাহি আলাইহ্) তাঁর দেওয়ানে যাকে যে অভিধায় খেতাব করেছেন, তা তিনি দেখেশুনেই করেছেন। কারণ, তিনি শুধুমাত্র একজন উচুমাপের আলেম বা আল্লামা ছিলেন তা নয়, বরং একজন আরিফবিল্লাহ ওলীও ছিলেন। এ প্রকার আরিফবিল্লারাই তাঁদের হাল ও মকাম সম্পর্কে অবগত থাকেন। যা সাধারণের পক্ষে জানা অসম্ভব।
এসব আধ্যাত্মিক বিষয়ে ইমাম শেরে বাংলার মত আরিফবিল্লাদের কথাই আমাদের জন্য দলীল। এর বাইরে যাওয়া বেয়াদবী। এ বেয়াদবী বেঈমানীর পথে নিয়ে যায়। আল্লাহর পানাহ্।
মাসিক তরজুমানে আমার প্রবন্ধে আমাদের কোন মুসাল্লাম বুযর্গের গাওসিয়াতকে অস্বীকার করা হয় নি। এখানে হুযূর আযম আবদুল কাদের জিলানীর মকাম ও মর্যাদাকে ইমাম আলা হযরতের রচনার আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। আর ইমাম আলা হযরতও তাঁর কোন নিজস্ব মত ব্যক্ত করেননি, তিনিও পূর্ববর্তী শরীয়ত ও তরীকতের মহান ইমামদের মতামতকে তুলে ধরেছেন মাত্র।
এ বিষয়ে আমার অনুদিত ও ২০১০ সালে প্রকাশিত "গাওসুল আযম ও গাওসিয়াত" বইয়ের ভূমিকায় আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রয়োজনে যেখানে দেখা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment