Thursday 27 March 2014

শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত

মূল: শায়খ আহমদ হেনড্রিকস্ (দক্ষিণ আফ্রিকা)
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

[অনুবাদকের আ’রয

’দিগন্ত’ স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বন্ধ হওয়ার কিছু দিন আগে সরাসরি সম্প্রচারিত ওর এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপককে ইমেইলযোগে প্রশ্ন করা হয় যে শরীয়ত ও তরীকত বলতে কী বোঝায় । ওতে উপস্থিত দু’জন বক্তার একজন ছিলেন ‘মুফতী’ এবং অপরজন কোনো ইসলামী একাডেমীর ‘অধ্যাপক’। ‘মুফতী’ সাহেব জবাবে বলেন যে শরীয়ত বলতে সামগ্রিকভাবে ইসলামী দ্বীনকে বোঝায় । ‘অধ্যাপক’ সাহেব তরীকত সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন । কেননা, আল্লাহতা’লা তাঁর কুরআন মজীদে বিভিন্ন ‘সাবিল’ তথা পথ গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। বলা বাহুল্য, এই নিষেধাজ্ঞা-সম্বলিত আয়াতগুলো আসলে মক্কার কাফেরদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল । ‘অধ্যাপক’ সাহেব কাফেরদের প্রতি অবতীর্ণ আয়াত মুসলমানদের প্রতি আরোপ করেন! বিশেষ করে আউলিয়ায়ে কেরাম ও বুযূর্গানে দ্বীনের প্রবর্তিত বিভিন্ন তরীকত সম্পর্কে তিনি কুৎসা রটনা করেন । আমরা মুসলমান সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাই তাঁরা যেন তরীকত-বিষয়ক প্রশ্ন শরীয়ত ও তরীকতের জ্ঞান বিশারদদের কাছে উত্থাপন করেন এবং শুধু ’যাহেরী এলম’ (প্রকাশ্য জ্ঞান)-সম্পন্ন কারো কাছে তা জানতে চেষ্টা না করেন । আমাদের মযহাবের ইমাম আবূ হানিফা (রহ:) সূফীদের ইমাম জা’ফর সাদেক (রহ:)-এর খেদমতে তাঁর জীবনের শেষ দুই বছর অতিবাহিত করেন । অতঃপর তিনি বলেন, “এই দুই বছর না হলে নু’মান বিন সাবেত (তিনি নিজে) ’হালাক’ তথা ধ্বংসপ্রাপ্ত হতেন ।” দেখুন, ফেকাহর এতো বড় জ্ঞান বিশারদও তাসাউফ-তরীকতকে আঁকড়ে ধরেছিলেন এবং এ পথ ছাড়া নাজাত নেই বলে প্রত্যয় পোষণ করেছিলেন ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশিষ্ট আলেম শায়খ আহমদ হেনড্রিকস্ যিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত এবং মক্কার বিখ্যাত আলেমে দ্বীন শায়খ মোহাম্মদ আলাউইয়ী মালেকী (রহ:)-এর ভাবশিষ্য , তিনি শরীয়তের দলিল-আদিল্লা থেকে এ প্রবন্ধে প্রমাণ করেছেন যে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অনুসৃত ‘সাবিল’ তথা তরীকত সত্য ও সঠিক । আমি এর অনুবাদ আমার পীর ও মুরশীদ চট্টগ্রাম আহলা দরবার শরীফের আউলিয়াকুল শিরোমণি সৈয়দ মওলানা আলহাজ্জ্ব এ, জেড, এম, সেহাবউদ্দীন খালেদ সাহেব কেবলা (রহ:)-এর পুণ্যস্মৃতিতে উৎসর্গ করছি ।

-- অনুবাদক]

শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত

শরীয়ত, তরীকত ও হাকীকত - এই তিনটি সংজ্ঞার অর্থ এবং এগুলোর প্রয়োগ এমনই এক বিষয় যা নিয়ে কিছু বিতর্ক দেখা যায়। এগুলোর প্রকৃত অর্থ কী এবং এগুলো প্রথমাবস্থায় কেন অস্তিত্ব পেয়েছে তা-ও আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই শব্দগুলোর প্রথমটি - শরীয়ত - আমাদের প্রায় সবার কাছেই সম্পূর্ণভাবে পরিচিত। আমরা যখন শরীয়ত সম্পর্কে কথা বলি, তখন মুসলমান সর্বসাধারণ বুঝতে পারেন যে আমরা হয় সার্বিকভাবে দ্বীন সম্পর্কে বলছি, নয়তো বিশেষ করে ইসলাম ধর্মশাস্ত্রের আইনি দিকগুলো বা ’ফেকাহ’ সম্পর্কে বলছি। সাধারণতঃ এর অভিব্যক্তি হলো, “আমাদেরকে শরীয়ত অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে।” আর আমরা সাথে সাথেই বুঝে যাই যে এর মানে “মহাপরাক্রমশালী আল্লাহতা’লার আইন অনুযায়ী।” যে প্রশ্নটি মুসলমানদেরকে প্রায়শ-ই ভাবিয়ে তোলে তা হলো, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহতা’লার আইনের পাশাপাশি সম্ভাব্য আর কী-ই বা থাকতে পারে? আমাদের সামনে উপস্থিত রয়েছে আমাদের ধর্ম, মহানবী (দ;)-এর আনীত জীবনাচার তথা শরীয়ত; এমতাবস্থায় আমরা যে শুনে থাকি তাসাউফের সাথে সম্পর্কিত তরীকত ও হাকীকত বিষয়ে, সেগুলো আসলে কী? আমরা এ প্রবন্ধে এ ব্যাপারে কিছু ব্যাখ্যা দেবার আশা রাখি, ইনশা’আল্লাহ।

আমি অন্য একটি লেখায় প্রমাণ করেছি যে তাফাককুর (গভীর ধ্যান) সচেতন ও অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে নিবেদিত মুসলিম-জীবনের অপরিহার্য প্রারম্ভিক ধাপ। তাফাককুর ছাড়া আমাদের জীবন মুসলমান হিসেবে অসার হতে বাধ্য। আমাদের ইসলাম এ পরিস্থিতিতে কেবল নিজেদের পিতামাতাকে অনুকরণ করার চেয়ে বেশি কিছু হবে না; অথবা তা মুসলমান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারার অনুকরণ ছাড়া ওর বাইরে কিংবা ঊর্ধ্বে যেতে পারবে না। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই যে, তাফাককুর হতে পারে বৈপ্লবিক। এটি আমাদের জীবনে বৈপ্লবিক ও সামগ্রিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। তাফাককুরের বরকত ও নূর দ্বারা জীবনের মানে স্রেফ অনুকরণ ও অন্ধ বিশ্বাসের চেয়েও ঢের বেশি বলে পরিদৃষ্ট হয়। আমাদের সাদামাটা, অগভীর, অনুকরণশীল ও বস্তুগত অস্তিত্বে আমরা সন্তুষ্ট হই না। এই অসন্তুষ্টি অহরহ-ই মানসিক যন্ত্রণা ও বিচলিত ভাবে পর্যবসিত হয়। আমরা মহাবিপদে পড়ি, যদি এই সময় কোনো নির্ভরযোগ্য ও সুদৃঢ় (সঠিক) পথপ্রদর্শন না পাই। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আমরা ধৈর্য ধরি এবং পরিপক্ক ও জ্ঞানী পরামর্শকের শরণাপন্ন হই। আমাদের মনে রাখতে হবে, অপ্রত্যাশিত উৎস থেকে তাফাককুরের প্রতি আমাদের উৎসাহ জোগানো হতে পারে, এমন কি তা চাপিয়েও দেয়া হতে পারে। হেদায়াতের পথ বহু ধরনের এবং তা কখনো কখনো রহস্যময়-ও। উদাহরণস্বরূপ, গভীর তাফাককুর কারো জীবনে কোনো সংকট থেকে উদ্ভূত হতে পারে - কোনো নিকটজনের মৃত্যু, বা চাকরি হারানো ও তৎপরবর্তী হতাশা, কিংবা কোনো বড় দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গহানি ইত্যাদি দ্বারা।

’সংকটে পতিত’ এই মুসলমানকে মহাপ্রভু আল্লাহতা’লা ডেকে বলেন, “ইন্না হাযিহী তাযকিরাতুন; ফামান শায়াত-তাখিযু ইলা রাব্বিহী সাবিলান্।” অর্থাৎ, নিশ্চয় এই কুরআন এক উপদেশ; সুতরাং যার ইচ্ছে হয় সে যেন আপন প্রতিপালকের দিকে কোনো ‘সাবিল’ তথা রাস্তা গ্রহণ করে (সূরা মুযাম্মেল, ১৯ আয়াত)

এই আয়াতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবৃত হয়েছে:

/ - কুরআন মজীদ হলো একটি ‘তাযকেরাহ’। এটি আমাদেরকে কতোগুলো মৌলিক সত্য বিষয় সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়; আর তা হলো আমরা কোত্থেকে এসেছি এবং সবশেষে কোথায় যাবো, যে সত্যটি সম্পর্কে আমরা বিস্মৃত। এটি এমন এক আলো যা আমাদেরকে বাস্তবতার প্রকৃতি সম্পর্কে, আমাদের নিজেদের সত্য (বাস্তবতা) সম্পর্কে এবং কবরের পরবর্তী জগত-বিষয়ে পুনঃজাগ্রত করে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও ভাগ্যের দিকে এটি আহ্বান করে। আল্লাহ এরশাদ করেন, “আমি জ্বিন ও ইনসান জাতিকে আমার এবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করি নি।” সাহাবী হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ’আমার এবাদত’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে ‘আমাকে জানা’।

/ - আল-কুরআনে যদি কোনো মুসলমানকে এ কথা-ই স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তাঁকে এমন পথ গ্রহণ করতে দেয়া হোক যা তাঁকে মহান আল্লাহর সুগভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সাগরে অবগাহন করতে দেবে এবং তাঁরই সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়তা করবে, আর চূড়ান্ত পর্যায়ে খোদাতা’লার বেহেশত লাভের পথ সুগম করবে। তাঁকে এমন পথ বেছে নিতে দেয়া হোক যা তাঁকে তাঁর চূড়ান্ত পরিণতি তথা মহান আল্লাহর মা’রেফতের দিকে নিয়ে যাবে।

’সাবিল’ বা পথ কিংবা সার্বিক কার্যক্রম, যেটি এই সুউচ্চ লক্ষ্যে কাউকে পৌঁছে দেয়, তাতে রয়েছে উলেমাদের মতানুযায়ী তিনটি পারস্পরিক-সম্পর্কিত বিষয়। আমরা সংক্ষেপে এগুলোর প্রতিটির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবো:

* মহানবী (দ:)-এর কাছে উম্মোচিত সকল ঐশী আইন-কানুন, নৈতিকতা ও আকীদা-বিশ্বাসের সমষ্টিকে শরীয়ত বলে। তওহীদ (এ’তেকাদ), ফেকাহ (শাস্ত্রীয় আইন) ও তাসাউফ (সূফীতত্ত্ব/আধ্যাত্মিকতা)-এর উলেমাবৃন্দ শরীয়তের দু’টো উৎস আল-কুরআন ও সুন্নাহ থেকে আইন-কানুন বের করার ও শরীয়তের সংকলনের গুরুদায়িত্ব কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে সুচারুভাবে পালন করেন।
* কোনো সুযোগ্য মোরশেদ/গুরু ও শিক্ষকের অধীনে শরীয়তের অনুশীলন। অনুশীলনের এই বিশেষ দিকটি হলো, বাহ্যিক ও আত্মিকভাবে হারাম তথা নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর বর্জন এবং সাধ্যানুযায়ী শরীয়তের আদেশগুলো পালন। এটিকেই ’তরীকত’ বলা হয়। ’তরীকাহ’ শব্দটি, যার অর্থ ’পথ’ বা ‘পদ্ধতি’, তা হচ্ছে শরীয়তের অনুশীলন। এই সংজ্ঞার অন্যান্য প্রয়োগগুলো সম্পর্কে আমার প্রবন্ধাবলীর এই সিরিজে পরে ব্যাখ্যা করা হবে, ইনশা’আল্লাহ। [এই সিরিজ ধাপে ধাপে অনুবাদ করার আশা রইলো, মওলার মর্জিতে - অনুবাদক]
* তৃতীয় দিকটি যাকে ’হাকীকত’ বলা হয়, তা হলো জ্ঞানের ফল ও তার অব্যাহত অনুশীলন। ’হাকীকাহ’ শরীয়ত ও তরীকতের ফল। যেমনটি মহানবী (দ:) থেকে বর্ণিত হয়েছে; তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি নিজ এলম তথা জ্ঞানের অনুশীলন করেন, তাকে আল্লাহ পাক তিনি যা জানেন না তা-ও শিক্ষা দেবেন।”

পক্ষান্তরে, হাকীকতে উন্নতিরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বিদ্যমান:

* খোদার অন্বেষণকারী ও মহাপ্রভুর মধ্যকার পর্দা উঠে যাওয়ার পর্যায়, যার দরুণ মহান আল্লাহর যাত (সত্তা) মোবারক ও তাঁর সিফাত (গুণাবলী), তাঁর রাজসিকতা ও সৌন্দর্য, আমাদের সন্নিকটে তাঁর অবস্থান ও পরম নৈকট্য অনুভব করা যায়। এই অনুভূতি ও কলব্ তথা অন্তরের জ্ঞানের ফলস্বরূপ খোদা-তালাশি ব্যক্তি তরীকতের গোপন রহস্য জানতে পারেন এবং তিনি হাকীকতেরও জ্যোতি ও অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করেন।
* নফস (কুপ্রবৃত্তি/একগুঁয়ে সত্তা) সব ধরনের দোষ-ত্রুটিমুক্ত হয়ে প্রশংসনীয় গুণাবলী লাভ করে। রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর অনুপম আখলাক (চরিত্র-বৈশিষ্ট্য) এমতাবস্থায় খোদা-তালাশি ব্যক্তির নিজের আখলাক হয়ে যায়। তাঁর ধৈর্য, তওবা (পাপ মোচন), তাকওয়া (খোদাভীরুতা), এসতেকামাহ (নিয়মিত এবাদত-বন্দেগী), আল্লাহতে তাওয়াককুল (আস্থা ও নির্ভরতা) সবই গভীরভাবে প্রোথিত এবং প্রকৃত হয়ে থাকে।
* ওই খোদা-তালাশি ব্যক্তির অন্তর ইসলামের নূরের জন্যে অবশেষে উম্মুক্ত হয়। এবাদত ও নেক আমল অতি সহজেই তাঁর দ্বারা অর্জিত হয়। তিনি ’নফস আল-মোতমাইন্না’ (প্রশান্ত সত্তা)-এর পর্যায়ে এখন উন্নীত এবং তাঁর অস্তিত্বের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দ্বীনকে তিনি গ্রহণ করে নিয়েছেন।

অতএব, আমাদের কথার সার-সংক্ষেপ এই: শরীয়ত হলো জাহাজসদৃশ, যাতে আমরা চড়ি, তরীকত হলো সমুদ্র, আর হাকীকত হলো মণি-মুক্তা, যা আমরা সাগর থেকে আহরণ করি; অথবা, শরীয়ত গাছসদৃশ, তরীকত তার শাখা (ডালপালা) এবং হাকীকত সেই ফল যা আমরা ভক্ষণ করি।

ওপরে আমাদের উদ্ধৃত ‘আপন প্রতিপালকের দিকে কোনো সাবিল (পথ)’ আয়াতটিতে এই তিনটি বিষয়কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। আমাদের জীবনে শরীয়তের জ্ঞান, শরীয়তের অনুশীলন ও ফলশ্রুতিতে শরীয়ত-অনুশীলনের ফসল ঘরে তোলা, এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় না করতে পারলে আমরা আল্লাহতা’লার সান্নিধ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো না। আমাদের অসন্তুষ্টি ও আত্মিক বিচ্ছিন্নতার সমাধান এই তিনের সমন্বয় সাধনে নিহিত। ধর্মের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে তুলে ধরার জন্যেই ইসলামী উলামাবৃন্দ শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত শব্দগুলো চয়ন করেছেন।

ইমাম মালেক (রহ:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: যে ব্যক্তি হাকীকত ছাড়া শরীয়ত অনুশীলন করে, সে ফাসেক (পাপী); আর যে ব্যক্তি শরীয়ত বাদ দিয়ে হাকীকতের দাবি করে, সে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি উভয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন, তিনি ইসলামের মর্মবাণী উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

                                                               সমাপ্ত




            




No comments:

Post a Comment