- এডমিন
সম্প্রতি আমি সপরিবার রংপুর ও গাইবান্ধা সফরে গিয়েছিলাম। উপলক্ষ মামাতো শ্যালক Asfat Rahman Fuad‘এর বিয়ে। তবে রংপুরে সুন্নী সংগঠক Ridwan Ashrafi ভাইসহ অন্যান্য সুন্নী ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। এ্যাডভোকেট রিদওয়ানভাই আমাকে আল্লামা হুসাইন হিলমী (রহ:)’র রচিত ‘আশীর্বাদময় সাহাবায়ে কেরাম (রা:)’ বইটি উপহারস্বরূপ দেন। সাড়ে পাঁচ শতাধিক পৃষ্ঠার এই বইটি অনুবাদ করা সম্ভব হলে সুন্নী মুসলিম সমাজ উপকৃত হবেন।
গাইবান্ধায় এসকেএস-ইন ভ্রমণের সময় বগুড়ার Mohammad Shamim ভাই আমাকে তাঁর এলাকা ঘুরে যাবার অনুরোধ জানান। কিন্তু সময়ের সংক্ষিপ্ততার দরুন তা হয়ে ওঠেনি। নিউজিল্যান্ড মসজিদে হামলার ঘটনা তখন সবেমাত্র ঘটেছে। তিনি বল্লেন, শত্রুরা মুসলমান হত্যা করছে; এমতাবস্থায় আক্বীদা’র প্রশ্ন, সুন্নী-ওহাবী-মওদূদী ইত্যাদি বিষয়গুলো উত্থাপন করা কতোখানি সমীচীন। শত্রুরা তো সবাইকেই নিধন করছে। প্রশ্নটি প্রাসঙ্গিক হওয়ায় সংক্ষেপে কিছু কথা বলতে চাই আমি। উলামাবৃন্দ এর ব্যাপক ব্যাখ্যা দেবেন আশা করি।
দেখুন, আক্বীদা-বিশ্বাস হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূলভিত্তি। এটা সাগরবক্ষে কোনো তরীর হালের মতোই। হাল ছাড়া উত্তাল সাগরে তরী দিশেহারা। মুসলমান সমাজও সুন্নী আক্বীদা-বিশ্বাস জানা ছাড়া গরু/গাধার পালের মতো দিগভ্রান্ত। ফলে মঞ্জিলে মক্বসূদ সুদূর পরাহত। আমার কথায় কেউ আবার রেগে যাবেন না কিন্তু! গরু/গাধার পাল বলাটা মোটেও অত্যুক্তি নয়। আমরা যদি সুন্নী আক্বীদা-বিশ্বাস অন্তরে ধারণ করতে না পারি, তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের কাছে আমাদের মূল্য গরু/গাধার চেয়ে বেশি হবে না; বরঞ্চ নিকৃষ্টতরই হবে। আফসোস এই যে, আমি কোনো ওহাবী/মওদূদী/সালাফী/তাবলীগী/শিয়া/কাদিয়ানীকেই সত্যপন্থী সুন্নী আক্বীদা-বিশ্বাসের প্রতি নিষ্ঠাবান হতে দেখিনি। সদাসর্বদা কূটকৌশল প্রয়োগ করে নিজেদের মনগড়া মতবাদেরই সাফাই গাইতে দেখেছি তাদের। তওবা করে সুন্নী মতাদর্শ তারা গ্রহণ করেনি। এটা তাদের মনের বক্রতা-ই প্রতিফলন করে।
শেষ কথা হলো, একমাত্র সুন্নী আক্বীদা-বিশ্বাস ধারণ করেই বর্তমান যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন মুসলমান সমাজ। ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যাকারীদের মনগড়া মতবাদ বিশ্ববাসীর সামনে ইসলামের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে না, বরং ম্লান করবে।
No comments:
Post a Comment