এই শরঈ বিষয়টি বড়ই তত্ত্বগত ও সূক্ষ্ম। মুহাক্কেক উলামাবৃন্দ কর্তৃক বিবেচ্য। আমি মালয়েশিয়ার সরকারি মুফতী সাহেবের ফতোয়া অনলাইনে পেয়ে তা এখানে শেয়ার করলাম। তাঁর ফতোয়ার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ:
১/ বিনা কারণে বা প্রয়োজনে এ কাজ করা না-জায়েয/অবৈধ।
২/ জায়েয হবে জরুরি পরিস্থিতিতে - যেমন, পানিতে ডুবে গেলে, মাটি ধ্বস, অসম্মান হবার আশঙ্কা ইত্যাদিতে। [মুগনী আল-মুহতাজ, ১/৪৯৬; বুসায়রা আল-করীম, ২/৩৯; এবং সাবিল আল-মুহতাদিন ৮৫]
৩/ সাহাবায়ে কেরাম (রা.) তাঁদের শহীদানের মাযার স্থানান্তর করেছেন পানিতে ভেজার কারণে।
৪/ আবূ আবদুল্লাহ আল-জুবাইরীর মতামত, যা’তে তিনি বলেছেন যে কবর যদি জলপ্রবাহের পথে, সেচের পথে থাকে অথবা মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকে তবে স্থানান্তর করা জায়েয, তার উপর মন্তব্য করতে গিয়ে ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন:
قول الزُبيرِي أَصحُ فقدْ ثبتَ فِي صحيحِ البخارِي عَن جابرِ بن عبدِ الله رَضِى الله عنهما أنهُ دَفنَ أباهُ يومَ أحدٍ معَ رجلٍ آخرٍ في قبرٍ قالَ ثُمَّ لَمْ تَطِبْ نفسِي إن أتركَهُ مع آخرٍ فاستخرجتُهُ بعدَ ستةٍ أشهرٍ فَإِذَا هوَ كَيومٍ وضعتُهُ هُيئةٍ غيرَ اذنِهِ وفِى روايةٍ للبخارِي أيضًا اخرجتُهُ فجعلتُهُ فيِ قبرٍ علي حدةٍ وذكرَ ابنٌ قتيبةَ فِي المعارفِ وغيرِهِ ان طلحةَ بن عبدِ اللهِ أحد العشرةَ رضي الله عنهُمْ دُفنَ فرأتْهٌ بنتُهُ عائشةٌ بعدَ دفنِهِ بثلاثينَ سنةً فِي المنامِ فشكَا إليهَا النَزَّ فأمرتْ بِهِ فاستخرجَ طريًّا فدُفنَ فَي دارِهِ بالبصرةِ.
অর্থ: “আল-জুবাইরীর মতামত সবচেয়ে শক্তিশালী; এই বিষয়ে বুখারীতে জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদীস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়, যেখানে উহুদ যুদ্ধের সময় তাঁর বাবাকে একই কবরে আরও দুজন ব্যক্তির সাথে দাফন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “তাঁকে অন্যদের সাথে দাফন করতে দিতে আমার অস্বস্তি হচ্ছিল, তারপর ছয় মাস পর আমি তাঁকে কবর থেকে বের করে আনলাম। আমি অবাক হয়ে দেখলাম যে তাঁর অবস্থা যখন তাঁকে দাফন করা হয়েছিল তখনকার মতোই, তাঁর কান ছাড়া।” (ইমাম আল-বুখারীর আরেকটি বর্ণনায় এসেছে), ”আমি তাঁকে কবর থেকে বের করে তাঁর নিজের কবরে স্থানান্তরিত করেছি।” আল-মা’আরিফ গ্রন্থে ইবনু কুতাইবা এবং অন্যান্যরা বলেছেন, "হযরত আবূ তালহা বিন কুতাইবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা (দশজন সাহাবীর মধ্যে একজন যাঁদের জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে)-কে দাফন করা হয়েছিলো ত্রিশ বছর আগে। তারপর একদিন তাঁর মেয়ে আয়েশা একটি স্বপ্ন দেখেন, যেখানে তিনি হযরত তালহা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে অভিযোগ করতে দেখেন যে তাঁর মাযার স্থির থাকা পানিতে ভরা। পরে আয়েশা তাঁর বাবার জিসম মুবারক মাযার থেকে বের করে আনলেন, আর জিসম মুবারক তখনও ভালো অবস্থায় ছিল এবং তারপর বসরায় তাঁর নিজের শহরে দাফন করা হলো।” [ইমাম আন্-নববী (রহমতুল্লাহি আলাইহি)-এর কৃত আল-মজমুআ’ ৫/২৭৩ দেখুন]
মালয়েশীয় প্রধান সরকারি মুফতীর ফতোয়ার অনলাইন লিঙ্ক: https://muftiwp.gov.my/en/artikel/irsyad-fatwa/irsyad-fatwa-umum-cat/1898-irsyad-al-fatwa-56-the-ruling-of-grave-relocation?fbclid=IwY2xjawLzzrhleHRuA2FlbQIxMABicmlkETFoT0Zoemk1bzNvVlhqWjVXAR6XJLb9dgI1JVTZKlbmmOv64p8mb1L8chjuSR-YR4xSCUNv8Yxszg-4sfeC6g_aem_Xqz1w3vBSpV7BCtZ70dA4A
No comments:
Post a Comment